আগামীতে বাংলাদেশ যুদ্ধজাহাজ তৈরির পরিকল্পনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাস করে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর খুলনা শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। আমাদের ডকইয়ার্ড চট্টগ্রামে এবং নারায়ণগঞ্জে, সেটাও আমরা নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। লক্ষ্য হলো নিজস্ব শিপইয়ার্ডে আমরা আমাদের যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করবো। যার কাজ ইতোমধ্যে আমরা কিছু কিছু শুরুও করেছি। তাছাড়া কক্সবাজারের পেকুয়াতে আমরা সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করছি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ২৭টি যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করেছি। ২০১৭ সালে নৌবাহিনীতে ২টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন আমরা সংযোজন করেছি। ফলে আমাদের বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সম্পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেন সব ধরনের উদ্যোগ থাকে এবং প্রশিক্ষণ থাকে, সেভাবেই আমরা আমাদের প্রতিটি বাহিনীকে গড়ে তুলছি। আমাদের লক্ষ্য হলো, আমাদের নিজস্ব শিপ-ইয়ার্ডে আমরা যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করব। যার কাজ ইতোমধ্যে আমরা কিছু কিছু শুরুও করেছি। অনুষ্ঠানে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।
Leave a Reply