বর্তমান সময়ে ওয়াফাই আমাদের প্রতিদিনের জীবনে একটি অনস্বীকার্য অংশ। আর করোনার জেরে এখন বদলে গেছে জীবনের গতিধারাও । যেমন, অফিসের কাজ বাসায় করতে হচ্ছে। তাই কাজটা নির্বিঘ্নে করতে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ইন্টারনেটের গতি ভালো থাকা চাই! চাইলে খরচা করেই স্পিড কয়েক গুণ বাড়িয়ে নেওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ভাবতে পারেন–ব্যাপারটা সাময়িক, কী দরকার বাড়তি খরচের।
সাশ্রয়ী চিন্তা যাদের, তাদের জন্যও পথ খোলা আছে। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত যেভাবে ওয়াইফাই ব্যবহার করি, তাতে বলা যায়–এর শতভাগ গতি আমরা পাই না। যেমন- কেউ যদি ১০ মেগাবাইট/সেকেন্ড গতির প্যাকেজ ব্যবহার করেন, খোঁজ নিলে দেখবেন তার স্পিড এত না। ইন্টারনেট সেবা দাতারা যে স্পিড ব্যবহারকারীকে দিচ্ছে, সেটারও শতভাগ ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারেন না খুঁটিনাটি না জানার কারণে।
এ অবস্থা বদলে চাইলেই গতি বাড়ানো যায়। আমরা মূলত বাসায় ওয়াইফাই রাউটার এমন জায়গায় রাখি, যেখানে ওয়াইফাই রাখলে সুবিধা হয়। বাসায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আমরা কিন্তু সবসময় ঠিক একই জায়গায় অনড় থাকি না। যেমন, কেউ বাড়ান্দায় চা চুমুক দিতে দিতে ল্যাপটপ চালাতে পছন্দ করেন, কেউ ড্রয়িং রুমে গল্প করতে করতে আবার কেউ বেড রুমে বসেও!
এ অবস্থায় সবচেয়ে কার্যকরি হলো–ওয়াইফাই রাউটার এমন এক জায়গায় রাখা যা পুরো বাড়ির কেন্দ্র বা এ ধরনের জায়গায় থাকবে। যাতে বাড়ির সম্ভাব্য যে জায়গাতেই বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করি না কেন, ওয়াইফাইয়ের সর্বোচ্চ সিগনাল পাওয়া যায়। এছাড়া, রাউটারের এন্টানা কত বড়, এটা কত দূর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সিগনাল দিতে পারে, সেটাও কিন্তু অনেকে খেয়াল করেন না। রাউটার যতটা সম্ভব ওপরে রাখতে পারলে ভালো হয়। রাউটারের আশেপাশে কোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস থাকলে সিগনালে বাঁধা পায়। ফ্লোর বা নিচু জায়গাতেও রাউটার রাখা যাবে না।
Leave a Reply