একজন বিবাহিতা নারীর গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রকম শারীরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। এরমধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়া হচ্ছে বিশাল পরিবর্তন। তাই মা হওয়ার পর অধিকাংশ নারীরাই চিন্তাভাবনা করেন কিভাবে অতিরিক্ত ওজন কমানো যায়। এক্ষেত্রে অনেক সদ্য সন্তান প্রসব করা বধূরা ভুল করে থাকেন। তাই মা হওয়ার পর ওজন কমানোর ব্যাপারে কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকা প্রয়োজন। এবার তাহলে সেই সতর্ক ও সচেতনতার বিষয়ে জেনে নেয়া যাক- শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে ইচ্ছা অনুযায়ী খাওয়া কমালেই হবে না। সতর্ক থাকতে হবে যে নতুন মা হিসেবে শরীর এখন ক্ষয় পূরণ করবে। শরীরকে পুষ্টি দিয়ে সারিয়ে ওঠার সময় দিতে হবে। আবার সন্তানকে অতিরিক্ত স্তন্যপান করালে আপনার অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হবে। এজন্য অনেক বেশি ফল ও সবজি খেতে হবে। মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে হবে। সদ্য মা হওয়া নারী প্রচুর ব্যস্ত থাকেন। মুহূর্তেই যেন চেনা পৃথিবীটা বদলে যায়। তারপরও শত ব্যস্ততায় নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করতে হবে। শুরুর দিকে মাত্র ১০ মিনিট সময় বের করে ওয়ার্ক আউট করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সময় বাড়াতে থাকবেন। ব্যস্ততার জন্য হয়তো জিমে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই বাড়িই নিয়ম অনুযায়ী ওয়ার্কআউট করুন। শিশুকে নিয়ে বিকেলে হাঁটতে বেরোন। এতে মা-সন্তান দুজনেরই কিছুটা ঘোরা হবে। এভাবেই শুরু হবে পরিবর্তন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকা মায়েদের দ্রুত ওজন কমানো দেখে নিজেকে তুলনা করবেন না। সকলের শরীর এক নয়। এতে আপনার মধ্যে হতাশা বাড়বে। হয়তো তিনি জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরান। তার সন্তানের দেখাশোনা করার মতো অনেকে আছে। কিন্তু আপনার পরিবারে তো সে রকম কেউ নেই। তাই নিজেই নিজেকে বুঝান; নিজের মত সময় বের করে ওয়ার্ক আউট করুন। সন্তান জন্মের পর এক ধাক্কায় নতুন মায়ের কাজ অনেক বেড় যায়। একা একা সব সামলাতে যাবেন না। পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে সহায়তা নিন। গর্ভাবস্থায় একদিনে আপনার ওজন বাড়েনি। ধীরে ধীরে নয় মাসে ওজন বেড়েছে। তাই ওজন কমাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করবেন না। ধীরে ধীরেই আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আপনার বেড়ে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
Leave a Reply