কবরের পাশে অনশনে বাবা বিষয়ক সংবাদ প্রচার হয়। এতে বিষয়টি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এতে পুলিশ বিভাগ দ্রুত ফারজানা আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি মো. মিরাজ হোসেন কামালকে গ্রেপ্তার করে। ফারজানান বাবা আবুল কালাম বলেন, মামলার আসামিরা উত্ত্যক্ত ও নির্যাতন করার ফলে আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় হন্য হয়ে বিচার চেয়েছি। কিন্তু কোনও বিচার পাইনি। তাই বাধ্য হয়েই মেয়ের ছবি নিয়েই ফারজানার কবরের পাশে অনশন শুরু করি। ফলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। তিনি আরও বলেন, মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে আবারও মেয়ের কবরের পাশে অনশনে বসব। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম কাশেম বলেন, মামলার প্রধান আসামি কামালকে গ্রেপ্তারের পর এলাকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা দাবি জানাচ্ছি। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে আর কেউ এ রকম অপরাধ করার সাহস পাবে না। ফারজানাকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতো কামাল। স্থানীয়ভাবে সালিশ বসিয়ে মেলেনি কোনও সুরাহা। উল্টো ফারজানাকে চরিত্রহীন অপবাদ দিয়ে তারই বাড়িতে এসে নির্যাতন করে কামালের পরিবার। গত ২৯ আগস্ট ফারজানাকে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয় তারা। এরপরই ফারজানার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পরদিন ফারজানার বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে সাতজনকে আসামি করে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেন। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল আমীন জানান, রাজধানী ঢাকার শ্যামলী এলাকা ফারজানাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি মো. মিরাজ হোসন কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে মামলার পাঁচ নম্বর আসামি মো. মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Leave a Reply