সারা বিশ্বে করোনা বা COVID19 কে বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণার পর বিশ্বের অনেক দেশেই ‘জরুরী স্বাস্থ্য অবস্থা’ ঘোষণা করে।এমনকি বাংলাদেশেও সাময়িক স্থিতবস্থা বা লকডাউন জারি করা হয়েছে। এই লকডাউন এর সময়ে সব ধরনের গণজমায়েত, চলাফেরা নিষিদ্ধও করা হয়। তবে কিছু জিনিস ছাড়া যেগুলো কে ‘জরুরী প্রয়োজনীয় সেবা’ এর কাতারে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশেও রয়েছে জরুরী তালিকা। এই ‘জরুরী প্রয়োজনীয় সেবা’ সেবা কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
এই প্রসঙ্গে ওরেগণ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ম্যাকনাইট নিকলস বলেন যে, এই মুহুর্তে একটি সমাজের জীবনাচার, আইনত রাজনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে পরিচালনা করতে যতটুকু জিনিসের প্রয়োজন হয় তার উপর নির্ভর করে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা বা আফ্রিকা সব জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনী, স্বাস্থ্যকর্মী (ডাক্তারি পেশাগত), খাদ্য-পণ্য সর্বরাহক, পরিচ্ছন্ন কর্মী ও তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়জিত কর্মচারি এবং প্রতিষ্ঠানকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
চলুন দেখি এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের ‘জরুরী প্রয়োজনীয় সেবার’ তালিকায় কি কি আছে তার একটা নমুনা দেখা যাক।
বাংলাদেশঃ মুদিদোকান, ওষুদের দোকান, সব্জির দোকান, তথ্য- যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা, হাসপাতাল ও সরকারি কিছু অফিস।
ভারতঃ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা কে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আমেরিকাঃ কিছু স্টেটে গলফ খেলা, বন্দুকের দোকান, মদ ও গাঁজার দোকান কে জরুরী সেবার তালিকায় রাখা হয়েছে। কানেক্টিকাটে আবাসন শিল্পকে জরুরী সেবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে ফুলের ব্যবসা কে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।(সুধিজনদের ধারণা এই গলফ, আবাসন প্রকল্প, ফুল ব্যবসা তালিকাভুক্তি হওয়া প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য যাই হোক না কেন এতে লবিস্টদের হাত রয়েছে।)
ব্রিটেনঃ মদের দোকান বন্ধ রাখতে বললেও সুপারসপ গুলোতে ওয়াইন, স্পিরিট শেষ হতে শুরু করলে পরে মদের দোকান গুলোকেও এই সেবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
ইটালিঃ খাদ্যপণ্য ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে নিয়জিত কারখানা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে রেখেছে ইটালি।
ফ্রান্সঃ দেশিটির নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাইরে থাকার তালিকায় রয়েছে পেস্ট্রি, চিজ ও ওয়াইন।
ইজরাইলঃ ধর্মীয় উপাসনার জন্য নিরাপদ দূরত্বে সর্বোচ্চ ১০ অবস্থানের, কোর্ট ও সংসদের সামনে গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব মেনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে দেশটি।
চায়নাঃ দেশটিতে যারা সেবা কাজের সাথে জড়িত, যারা খাদ্যপণ্য পরিবহনে জড়িত, সুপারশপ, যারা পরিচ্ছন্নকাজে নিয়জিত ছিল, ফার্মেসি ব্যবসাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রেখেছিল এবং এখন তাদের কে জাতীয় বীর ঘোষণা করা হয়েছে।
রিয়াজ রায়হান
Leave a Reply