বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এর মহামারী পরিস্থিতিকে আমলে নিয়ে দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের আওতায় সরকারের কাছে কোভিড-১৯ কে একটি পেশাগত ব্যাধি হিসেবে ঘোষণার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল হেলথ ,সেইফটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) এক জরুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় সংস্থাটি। বিবৃতিতে ওশি জানায়, মারাত্মক সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও বর্তমানে জরুরী সেবা ও চাহিদা পূরণের কয়েক মিলিয়ন শ্রমিক ও কর্মচারীকে কাজ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ক্ষেত্র হলো, স্বাস্থ্যসেবার নিয়োজিত কর্মী, তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিক, চা শ্রমিক, ময়লা ও বর্জ্য নিষ্কাশনকর্মী ,গণমাধ্যমকর্মী, ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতে নিয়োজিত কর্মী। এছাড়াও জরুরী সেবা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে খাদ্য সরবরাহ ও উৎপাদনে নিয়োজিত কর্মী, মুদি ও কাঁচামাল সরবরাহকারী, বেসরকারী নিরাপত্তাকর্মীদের এ মুহূর্তে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যেও তাদের কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের অনেকেরই কর্মক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে। করোনা সংক্রমণকালীন সময়ে তাই এ জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সামাজিক নিরাপত্তা প্যাকেজের আওতায় আনা প্রয়োজন।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এ আর চৌধুরী রিপন বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারকে দ্রুততার সাথে কোভিড-১৯ কে একটি পেশাগত ব্যাধি হিসেবে ঘোষণা দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া জরুরী ভিত্তিকে তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাহী আদেশ জারী করা প্রয়োজন। জরুরী ভিত্তিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা শ্রমিক ও কর্মীদের যথাযথ আবাসন, কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন অবস্থায় থাকা ও খাবার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। এছাড়া তাদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের সুব্যবস্থা, উন্নত স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা এবং নিরাপত্তা সুবিধা প্রতিটি শ্রমিক এবং কর্মীর বৈধ এবং আইনগত অধিকার। কোভিড-১৯ কে পেশাগত ব্যাধি হিসেবে ঘোষনা দিলে আক্রান্ত শ্রমিক ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষতিপূরণ আদায় সহজতর হবে।
Leave a Reply