আগামী মার্চেই ঢাকা-টরোন্টো রুটে ডানা মেলতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শুধু তাই নয়, ফ্লাইট চলাচলে জাপান নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই দীর্ঘ ১৪ বছর ঢাকা-টোকিও রুটে উড়বে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ বিমানের গন্তব্যের তথ্যে দেখা যায়, একসময় ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রিস ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৮টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে উড়েছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান। তবে ক্রমাগত লোকসানে মুখে পড়ে লন্ডন ছাড়া বন্ধ হয়ে গেছে ইউরোপের সব রুট। এদিকে কয়েক বছর ধরে বিমানের বহরে একের পর এক যোগ হয়েছে দূরপাল্লার অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ। তাই আবার কানাডার টরোন্টোতে ডানা মেলতে যাচ্ছে বিমান। এরই মধ্যে ড্রিমলাইনার নাইন দিয়ে সপ্তাহে তিন দিন টরেন্টোতে ফ্লাইট চালানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সংস্থাটি। বর্তমানে কাতার, এমিরেটসসহ কয়েকটি এয়ারলাইন্স কানাডা গেলেও ট্রানজিটের কারণে এই ঘুরপথে যাত্রায় অন্তত ৬ ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। অথচ ঢাকা-টরোন্টো সরাসরি যাত্রা শুরু হলে ১৪ ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছবে বিমানের ফ্লাইট। টরেন্টো থেকে যাত্রীদের অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে এয়ার কানাডার সঙ্গেও চুক্তি করেছে বিমান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চেই এই রুটে বিমান চালানোর কথা জানান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসেন। দ্রুত এ ফ্লাইট চালুর আহ্বান জানিয়েছেন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, এতে করে বিমানের সক্ষমতা যেমন বাড়বে তেমনি আয় বাড়বে সংস্থাটির। আবার প্রবাসীরাও তুলনামূলক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। ঢাকা-টরোন্টোর পাশাপাশি ঢাকা-টোকিও ও চীনের গুয়াংজুতে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতিও শেষ করেছে বিমান পরিবহন সংস্থাটি। দীর্ঘ ২৬ বছর ফ্লাইট চালানোর পর ২০০৬ সালে লোকসান দেখিয়ে ঢাকা-টোকিও ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বিমান। তাই টোকিও, টরোন্টো ও গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালুর আগে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ এই খাত বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলমের। তিনি বলেন, ফ্লাইট চালু করলেই হবে না; সেবার মান ও অন্যান্য সুবিধা বিবেচনায় অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে বিমানকে। না হলে তা আবার লোকসানের কবলে পড়বে আশঙ্কা তার। এ জন্য অবশ্যই জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তবে বিমানের বহরের সক্ষমতা কাজে লাগাতে নতুন রুট চালুর বিকল্প নেই। এটা যেমন ঠিক তেমনি লাভজনক অবস্থানে পৌঁছাতে ও তা ধরে ব্যাপক প্রচারণা ও সেবার মান নিশ্চিত করারও বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক পরিচালক নাফিয ইমতিয়ায উদ্দিন। করোনার আগে ১৮টি রুটে চলাচল করত বিমানের ফ্লাইট। চেন্নাই, গুয়াংজু, টোকিও ও টরোন্টো ফ্লাইট চালু হলে রুট বেড়ে দাঁড়াবে ২২টিতে।
Leave a Reply