‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে বাম দলের সংগঠন ফেনীতে লংমার্চ শেষ করে নোয়াখালী ফেরার পথে দু’দফা হামলার শিকার হয়েছেন। এতে সংবাদকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের দাবি, এতে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। আর ছাত্রলীগ দাবি করছে এটি তাদের অভ্যন্তরীণ মারামারি। এদিকে একই সময় ফেনীর দাগনভূঞাতে অপেক্ষমান লাংমার্চকর্মীদের ওপর হামলা করেছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ চলাকালে লংমার্চকারীরা ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবি সংবলিত ফেস্টুনে ধর্ষণের প্রতীকি চিহ্ন ও তুই ধর্ষকদের পাহারাদার লেখেন।
এছাড়া সমাবেশে সরকার বিরোধী ও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অনুষ্ঠিত করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় সমাবেশ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে ফেনী শহরের মিশন হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। আদালতপাড়া সংলগ্ন নির্মাণ সুপার
মার্কেটের সামনে পৌঁছালে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এতে একটি বেসরকারি টিভির প্রতিনিধি, ক্যামেরাম্যান, স্থানীয় সাংবাদিক ছাড়াও লংমার্চকর্মীদের অনেকে আহত হন। অন্যদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, লংমার্চ সহ্য করতে না পেরে
ট্রাংক রোডে সমাবেশ শেষে তারা হামলা চালিয়ে মারধর ও ৬টি গাড়ি ভাংচুর করে। এতে অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে তার দাবি। তবে নিজাম হাজারীর ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য লেখার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, লংমার্চকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবিতে ‘ধর্ষকদের পাহারাদার’ লেখায় সাধারণ মানুষ প্রতিহত করেছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন করলেও একটি চক্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করেছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্ত্রীয় নেতা আল কাদেরি জয় বলেন, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মূলত সরকার বিরোধী কোনো কথা তাদের সহ্য হয় না। সরকার বিরোধী যে কথা বলে সরকার দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা করে।
তিনি বলেন, এ ধরণের হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমরা পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে মামলা কিংবা পরবর্তী পদক্ষেপ অথবা বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দেবো।
Leave a Reply