আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মার পাঠানো ৩ লাখ মাস্ক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে বিশেষ একটি কার্গো বিমানে এসব মাস্ক বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে বলা হয়, জ্যাক মার দেয়া ৩ লাখ মাস্ক বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন (ডিসিএম) ইয়ান হুয়ালং।
দেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেসে দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক দু’টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে অনুদানটি গ্রহণ করেন। এছাড়াও এই উদ্যোগের সমর্থন স্বরূপ উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জনাব মোঃ শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী- এশিয়া উইং চিফ, মিনিস্ট্রি অফ ফাইন্যান্স; ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ শহীদুল্লাহ- ডিরেক্টর, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর ডিপোট এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের চীনা রাষ্ট্রদূত জনাব এইচ.ই. লি জিমিং।
এর মধ্যে ৩০ হাজার এন৯৫ মাস্ক রয়েছে। এন৯৫ মাস্কগুলো চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি যারা করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং ল্যাবে পরীক্ষা করেন তাদের কাজে লাগবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মার পাঠানো ৩০ হাজার করোনা টেস্ট কিট। এদিন বিকেলে এসব কিট বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করে ।
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জ্যাক মা এশিয়ার দশটি দেশে মোট ১৮ লাখ মাস্ক এবং দুই লাখ ১০ হাজার কোভিড-১৯ টেস্ট কিট পাঠাবেন বলে টুইট করেছিলেন।
সেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও জ্যাক মা’র তালিকায় আফগানিস্তান, পাকিস্তান, লাওস, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে এসব সরাঞ্জাম পৌঁছে গেছে।
শনিবার করা ওই টুইটে জ্যাক মা জানিয়েছিলেন, এসব সরঞ্জামের পাশাপাশি প্রোটেক্টিভ স্যুট, ভেন্টিলেটর ও থার্মমিটারও পাঠাবেন তিনি।
Leave a Reply