করোনা মোকাবেলায় সারা দেশের প্রতিটি সেক্টর কাজ করছে নিরলস। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই জাতীয় জরুরী সেবা কেন্দ্র ৯৯৯ ও। করোনা মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজেরা পাশাপাশি দিচ্ছেন সেবাও। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে গত ২০১৭ সালের ১২ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ৯৯৯ থেকে জানানো হয়, সেবাটি জরুরী সেবার হলেও করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত প্রশ্নও আসছে প্রতিনিয়ত।যাকে ভাগ করা হয়েছে দু ভাগে। একটি সেবা সংক্রান্ত অন্যটি তথ্য সংক্রান্ত।
সেবা’র বিষয়ে বলতে গিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ বলেন, মূলত করোনা নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে আতঙ্ক।তাই অনেক সময়ে এমন ফোন আসে যে, আমার পাশে বাড়ীতে বিদেশ থেকে লোক এসছে কিন্তু তিনি কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তখন আমরা স্থানীয় থানা কে অবহিত করি,পরে তারা গিয়ে সেই প্রবাসীকে সতর্ক করেন ও বাড়ীতে ‘কোয়ারেন্টাইন সাইন’ লাগিয়ে দেন। এছাড়াও আমরা একবার টঙ্গী থেকে একটি কল রিসিভ করি। পরে জানতে পারি কলার এর একজন আত্নীয় মারা গিয়েছেন। কিন্তু কেউ লাশ দাফনে আসছেন না। পরে আমরা এম্বুলেন্স এবং আইইডিসিআর এর সাথে সমন্বয় করে সেবা দিয়ে থাকছি।
আর তথ্য সেবা সম্পর্কে গিয়ে ৯৯৯ মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ জানান ,করোনা সংক্রান্ত হোক আর যাই হোক সব কল আমরা সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যেহেতু করোনা নিয়ে আমাদের ফিল্ডে কাজ করার উপায় নেই তাই তথ্য চাইলে আমরা সরাসরি সেই তথ্য দিয়ে থাকি। যেমন অনেকে জানতে চাইছেন তারা ঠান্ডা ,জ্বর এবং সর্দি হচ্ছে এমন সময়ে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও আইডিসিআর এর হটলাইন নাম্বার, কোন হাসপাতালে পাওয়া যাবে করোনা সেবা, এছাড়াও রয়েছে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য এম্বুলেন্স সেবার খোঁজ ।
করোনা নিয়ে অফিসের কি প্রস্তুতি এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাডিশনাল ডিআইজি জানান, করোনা প্রতিরোধে বিশেষ যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা তার সব মেনেই সবাই অফিস পরিচালনা করছে, এছাড়াও আপনারা জেনে থাকবেন যে পুলিশের ছুটি নেই তাই সবাই নিয়ম মেনে শিফট অনুযায়ী কাজ করে চলছেন। তবে সবার নিরাপত্তার জন্য হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও বিশেষ ক্ষেত্রে পিপিই এরও ব্যবস্থা করেছি আমরা।এছাড়াও আমাদের কোয়ালিটি এনশিওর ও ট্রেইনিং টিম এর সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখছি।
গুজবের বিষয়ে বলতে কি তিনি বলেন, এটি যদিও একটি ভিন্ন বিষয় তবে সঠিক তথ্য জানতে কেউ ফোন দিলে আমরা সে অনুযায়ী তথ্য দিয়ে থাকি। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক তথ্য জানতে যে কেউ আমাদের ফোন দিতে পারেন।
বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা হলে প্রশিক্ষিত এজেন্টরা জরুরি ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশ কিংবা এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
এখানে যারা কল রিসিভ করেন তাদেরকে বলা হয় কল টেকার। তাদের তত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন কয়েকজন কর্মকর্তা।সারাদেশে লকডাউন চললেও বিশেষায়িত সেবা হওয়ায় এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চারটি শিফটে দু’শোর বেশি কর্মী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply