পরবর্তী প্রজন্মের ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভয়েস এবং ভিডিও কল করার পরীক্ষা চালিয়েছে অপো। ব্যবহারকারীদের উচ্চমান সম্পন্ন ফাইভজি অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্যে এরিকসন এবং মিডিয়াটেকের সাথে যৌথভাবে এ পরীক্ষা চালিয়েছে অপো।
অপোর একটি স্মার্টফোনের পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহার করে ভয়েস/ভিডিও অন নিউ রেডিও (ভিওএনআর) কল করার এ পরীক্ষা করা হয়েছে। স্মার্টফোনটিতে মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি ১০০০ সিরিজ সিস্টেম অন চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। আর ফাইভজি কল করার জন্য ব্যবহৃত স্ট্যান্ডঅ্যালোন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে এরিকসনের রেডিও সিস্টেম পণ্য ও সেবা ব্যবহার করে। সুইডেনের স্টকহোমে এরিকসনের প্রধান কার্যালয়ে এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় ডায়াল করার পর প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই দুটি ফোন যুক্ত হয়েছে।
এরপর কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই হাই-ডেফিনেশন ভিডিও কলে যুক্ত হয়েছে ফোন দুটি। ভয়েস/ভিডিও অন নিউ রেডিও বা ভিওএনআর হলো স্ট্যান্ডঅ্যালোন ফাইভজি নেটওয়ার্কের অধীনে বেসিক কল সার্ভিস। আগের কল সার্ভিসের তুলনায় ভিওএনআর কল সার্ভিসে ল্যাটেন্সি উল্লেখযোগ্যভাবে কম, সাউন্ড ও ভিডিও কোয়ালিটি বেশ ভালো যা সামগ্রিকভাবে গ্রাহকদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
ভবিষ্যৎ ফাইভজি প্রযুক্তির নেটওয়ার্কের একটি অন্যতম আর্কিটেকচার হলো স্ট্যান্ডঅ্যালোন আর্কিটেকচার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অপারেটররা ফাইভজি স্ট্যান্ডঅ্যালোন নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। আর স্ট্যান্ডঅ্যালোন নেটওয়ার্কে ভিওএনআর কল সমর্থন করা অন্যতম স্মার্টফোন পার্টনার হিসেবে অপো বিশ্বব্যাপী মোবাইল অপারেটর এবং কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে অপোর ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি উ বলেন, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফাইভজি প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে অপো। ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ভিওএনআর কলের জন্য এরিকসন এবং মিডিয়াটেকের সাথে এ অংশীদারিত্ব। বিশ্বব্যাপী ফাইভজি প্রযুক্তি চালুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য ফাইভজি অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে কাজ করছে অপো। উল্লেখ্য যে, ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নে শুরু থেকেই কাজ করছে অপো।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপো এক হাজারের বেশি ফাইভজি স্ট্যান্ডার্ড এসেনশিয়াল প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেছে। এছাড়া ফাইভজি স্ট্যান্ডার্ড সম্পর্কিত তিন হাজারের বেশি ডকুমেন্ট থ্রিজিপিপি’তে জমা দিয়েছে অপো। বর্তমানে অপো চারটি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) কেন্দ্র পরিচালনা করছে যেখানে কাজ করছেন দশ হাজারের বেশি কর্মী।
Leave a Reply