৩৩৩ এ ফোন দিয়ে ত্রাণ বিতরণের মহাপরিকল্পনার পর এবার আসছে খাদ্য বিপননে ডিজিটাল ব্যবস্থা। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে একজন খাদ্য উৎপাদনকারী কোন মধ্যসত্বভোগী ছাড়াই বিক্রি করতে পারবেন তার বেঁচে যাওয়া খাদ্যপণ্য।
সোমবার ( ২০ এপ্রিল) এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এই পরিকল্পনার রুপরেখা তুলে ধরেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে খাদ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আসতে পারে নতুন কোন চ্যালেঞ্জ।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট যাতে না হয় এবং বিভিন্ন এলাকার উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য সুষ্ঠু বন্টন ও সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে কি কি ধরণের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে সেসব নিয়েই সভাটি আয়োজন করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক পর্যায় থেকে খাদ্যদ্রব্যের সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি খাদ্য সংকট মোকাবেলায় খুব শিগগির একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী বাজার ব্যবস্থাপনার প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে খাদ্য সংক্রান্ত কোন চ্যালেঞ্জ আসলে প্ল্যাটফর্মটি ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানায়। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান। এই জন্য তিনি ৩৩৩#৫ নাম্বারটি বরাদ্দের কথাও জানান। যেখানে ফোন দিয়ে একজন খাদ্য উৎপাদনকারী তার অবিক্রিত পণ্য ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন।চাইতে পারবেন সরকারী পরিবহনের সাহায্যও।
সভায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, উধ্বর্তন কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, বরগুনা, গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া এবং এটুআই প্রকল্পের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
Leave a Reply