বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে অ্যানিমেশন সিনেমা ‘মুজিব আমার পিতা’।
মুজিব জন্মশতবর্ষে মুক্তি পেতে যাওয়া এই সিনেমার কাহিনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই হতে নেয়া হয়েছে।
অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময় উঠে আসছে।
দ্বিমাত্রিক চলচ্চিত্রটি তৈরি করছে প্রোল্যান্সার স্টুডিও। এটি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের গেইম অ্যান্ড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বিএমআইটি সল্যুশনের সহযোগিতায় তৈরি হচ্ছে।
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা।
তিনি জানান, বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মানো খোকা কিভাবে একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখাতে পারে সেই পথচলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি তৈরি হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর কৈশোরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি, যৌবনে স্বাধিকার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে শাসকশ্রেণীর চক্ষুশুল হয়ে জেল-জুলুম সহ্য করা, দেশের নিপীড়িত মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য পালনের তাড়না সব উঠে এসেছে বিভিন্ন বইপত্র-প্রবন্ধ-নিবন্ধে। সেই কাহিনীগুলো এবার অ্যানিমেশনে উঠিয়ে নিয়ে আসতেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানান সোহেল মোহাম্মদ রানা।
চলচ্চিত্রটি তৈরি করার জন্য এর স্ক্রিপ্ট, স্টোরিবোর্ড, চরিত্র, দৃশ্যপট নিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা হয়েছে।
অ্যানিমেশনে এমন চলচ্চিত্র তৈরি করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যাকগ্রাউন্ড বা দৃশ্যপট নির্মাণের ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাস্তবিক দৃশ্য তৈরি, যাতে দর্শকেরা সেই সময়ের পরিবেশের সাথে পরিচিত হতে পারেন।
তৎকালীন সময়ের দৃশ্যপটের বিবরণ খুবই সীমিত পর্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে ঐতিহাসিক বই বা চলচ্চিত্রে। সিনেমাটির চরিত্র চিত্রায়ণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও অন্যান্য চরিত্রের পুরোনো ছবি, পোশাক, বাচনভঙ্গি, চলাফেরা, পুরোনো ভিডিও, তথ্যচিত্র এবং সাক্ষাতকার।
‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্র তৈরিতে প্রোল্যান্সার স্টুডিওর ৪০ জনেরও বেশি চারুশিল্পী কাজ করছেন।
চলচ্চিত্রটির লিড ক্যারেক্টার ডিজাইন করেছেন আরাফাত করিম, লিড ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইনার পল্লব কুমার মোহন্ত ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ফাহাদ চিশতী কানন ও ইবনে কবির।
Leave a Reply