ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেয়ার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইশরাক হোসেন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, এস এম জাহাঙ্গীরসহ শতাধিক নেতাকর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার সকালে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের জামিন দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান। জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, সালাউদ্দিন দোলন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মজিবুর রহমান ও কাজী মো. জয়নাল আবেদিন।
এর আগে রোববার এই আগাম জামিনের আবেদন করেন বিএনপির নেতারা। পৃথক ১৩ টি পত্রে জামিন আবেদন করেন তারা।
গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট চলাকালে একটি কেন্দ্রের সামনে হাতবোমা ফাটানো হয়। এছাড়া দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মোট ১১টি বাস পোড়ানো হয়। এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ, রমনা, খিলক্ষেত, বাড্ডা থানায় ১৩ মামলা হয়। এর বাইরে পুলিশের কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, তাতে মোট আসামি সাড়ে ছয় শর মতো। এর মধ্যে বাস পোড়ানো মামলার মোট আসামি সাড়ে পাঁচ শর মতো। এসব ঘটনায় ওইদিনই ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাস পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। অন্যদিকে বিএনপি দাবি করছে তাদের ফাঁদে ফেলতে ক্ষমতাসীনরাই বাস পুড়িয়েছে।
Leave a Reply