ভারতের রানাঘাটের সেই রানু মণ্ডল, যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে যান গান গেয়ে। এতে হঠাৎ করেই পাল্টে যায় তার জীবন। রাস্তা থেকে সুযোগ পেয়ে যান মুম্বাইয়ের গ্ল্যামার দুনিয়ায়। বলিউডের ছবিতে গানও গান। চাকচিক্যময় এক জীবন শুরু হয় রানুর। কিন্তু এ সুখ বেশিদিন কপালে সইলোনা তার। পুরনো জায়গায় ফিরতে হল তাকে। এখন আবার অভাবে দিন কাটছে তার।
অথচ কিছুদিন আগেও করোনার দুর্যোগে রানু মণ্ডলও দাঁড়িয়েছিলেন অসহায় মানুষদের পাশে। নিজের এলাকার গরিবদের মাঝে চাল, ডাল বিতরণ করেছেন তিনি। সেই রানু মন্ডলই এবার অভাবের মধ্যে পড়েছেন।ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এখন রোজ দু’বেলা পেট ভরে খেতেই রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রানু মণ্ডলকে। আগের মতোই অনাহারে দিন কাটছে তার। মাঝেমধ্যে চিঁড়ে মুড়ি খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
পাড়া-প্রতিবেশী যদি মাঝেমধ্যে চাল ডাল দেন তাহলে কোন কোন দিন চলে যায়। কিন্তু না খেয়ে পুরো দিনও থাকতে হচ্ছে রানু মণ্ডলকে। করোনার আবহে সেভাবে কেউ খোঁজ নিতে আসে না হঠাৎ করে পরিচিত হয়ে যাওয়া এই গায়িকাকে।
রাতারাতি যেমন সেলিব্রিটি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। আবার খুব তাড়াতাড়ি যেন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে মুছে গিয়েছে রানু মন্ডলের নাম। তাই আবার সেই রানাঘাটের প্ল্যাটফর্মের কাছে নিজের ছোট্ট ঘরেই আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের আগাস্ট মাসে রানুর একটি গান রাতারাতি ভাইরাল হয়। দেখা যায়, রানাঘাট স্টেশনে ভিখারিনীর বেশে বসে গান গাইছেন রানু। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই অনেকেই তাকে লতাকণ্ঠীর তকমাও দেন। রাতারাতি ভাইরাল হয়েই সোজা মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।
সেখানেই হিমেশ রেশমিয়ার নজরে পড়ে যান রানাঘাটের এই গায়িকা। হিমেশ ‘হ্যাপি হার্ড অ্যান্ড হীর’ ছবিতে একটি গান গাওয়ার প্রস্তাব দেন রানু মণ্ডলকে। হিমেশের সুরে রানুর গলায় তেরি মেরি কাহানি গানটির এক লাইন শুনেই মুগ্ধ হয়েছিলেন নেটিজেনরা।
Leave a Reply