চীনা মোবাইল নির্মাতা ভিভো ১৩ হাজারেরও বেশি স্মার্টফোনে একই আইএমইআই দিয়ে বাজারে ছেড়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি হ্যান্ডসেটে প্রতিটি সিমের জন্য একটি স্বতন্ত্র বা ইউনিক আইএমইআই থাকে এবং একটি হ্যান্ডসেট যদি দুটি সিমের হয় তাহলে ওই হ্যান্ডসেটে দুটি আইএমইআই নম্বর থাকাটাই স্বাভাবিক। সেখানে কীভাবে একটি মাত্র আইএমইআই নম্বর দিয়ে ১৩,৫৫৭টি স্মার্টফোন তৈরি হলো, সে রহস্য এখনো খোলাসা হয়নি।
সম্প্রতি ভারতের এক পুলিশ সদস্যের স্মার্টফোনে সমস্যা হওয়ার পর প্রথম ব্যাপারটি পুলিশের নজরে আসে। মিরাট পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট গত সেপ্টেম্বর থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। এর পর তারা নিশ্চিত হন যে ১৩ হাজারের বেশি ফোনে এখনো এই একটি আইএমইআই সচল আছে।এ ব্যাপারে ভিভো কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে দেশটির মিরাট পুলিশের সাইবার সেল। কিন্ত কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যে জবাব পাওয়া গেছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন পুলিশ কর্মকর্তারা।
মিরাট পুলিশের তরফ থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানানো হয়, মোবাইল নির্মাতাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এ রকম ক্রুটির ফলে মোবাইল ব্যবহার করে অপরাধ প্রবণতা বাড়তে পারে। তাছাড়া এক আইএমইআই নম্বরে একাধিক গ্রাহক থাকলে একজনের অপরাধের কারণে আরেক জনের ফেঁসে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।ভিভো কী ভুলবশত করেছে, নাকি ইচ্ছে করে–তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনা চলছে।
আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর হচ্ছে একজন মোবাইল গ্রাহকের স্বতন্ত্র পরিচিতি। এই নম্বরের মাধ্যমে একজন গ্রাহককে সহজেই সনাক্ত করা যায়। প্রতিটি মোবাইল নির্মাতারাই নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি হ্যান্ডসেটে স্বতন্ত্র নম্বর হিসেবে আইএমইআই নম্বর যুক্ত করে দেন। এই নম্বর স্বাভাবিক অবস্থায় অন্য কোনো গ্রাহকের হ্যান্ডসেটের নম্বরের সঙ্গে মিলে না।
Leave a Reply