আবারও ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করল সৌদি আরব। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, সৌহার্দ ও সম্প্রীতি রক্ষায় তাদের নীতিতে সব সময়ের মতোই অটল রয়েছে। এ অঞ্চলের শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতায় বিনষ্ট করে এমন কোনো অপচেষ্টাকেই বরদাশত করা হবে না বলে কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সৌদি মন্ত্রিসভা। খবর উর্দু নিউজের।
গতকাল বুধবার অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদের এক বিশেষ সভায় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এ কথা বলেন। সৌদি সংবাদ সংস্থা এসপিআইয়ের তথ্যানুযায়ী, সৌদি মন্ত্রিপরিষদ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বৈঠকে মন্ত্রীরা তাদের অতীত ইতিহাস স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরব সবসময় ন্যায়বিচারের পক্ষে ছিল। ফলে ১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনের জনগণ পূর্ব জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের জন্য আমরা এমন একটি সমাধান চাই, যা আরব বিশ্বের শান্তি ও সংহতি রক্ষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য ও বিবেচিত হবে।
সৌদি আরবের ভারপ্রাপ্ত তথ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ অল কাসবী ব্রিফিংয়ে বলেন, সভায় ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সৌদি আরবের সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হুতি সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় হুতিদের আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য আরব লীগের কর্মতৎপরতার প্রশংসা করা হয়। এ ছাড়া সভায় কাবুলে আফগান ভাইস প্রেসিডেন্টের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে সব প্রকার সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার সৌদি সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে সৌদি আরবের অবস্থানও স্পষ্ট করা হয়। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে বাহরাইন ও আরব আমিরাতের পথ অনুসরণ করবে তারা।
Leave a Reply