লকডাউনের তিন মাস পরও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবন ও জীবিকা উভয়কে রক্ষা করে জীবনযাত্রাকে চলমান ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে নাগরিকের জীবনকে নিরাপদ রাখতেই জোনিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, দেশের এবং প্রবাসী মেধাবী ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে দেশে লকডাউন পরবর্তী সময়ে ‘জোনিং সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ডেটা এনালিটিক্স টাস্কফোর্স। শহরের জনঘনত্ব বিবেচনায় রেখে ১৪দিনের সনাক্তকারী রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে এলাকাভিত্তিক লোকডাউন করা হচ্ছে। প্রতি লাখে ৬০ জন আক্রান্ত হলেও অতি ঝুঁকিপূর্ণ লাল জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। আর ৫৯ এর নিচে থাকলে হলুদ জোন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। জিও ম্যাপিং থেকে জিও ফেন্সিং এবং জোনিংটি প্রতিদিন হালনাগাদ করা হচ্ছে।
তবে নির্দিষ্ট চৌহদ্দির জনঘনত্ব ও আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় এনেই বাংলাদেশের জন্য একটি আদর্শ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি খুঁজে বেরকরতেও ডেটা বিজ্ঞানী, পরিখ্যানবিদ ও স্বাস্থ্যবিদরা কাজ করছেন বলেও জানান পলক। এক্ষেত্রে কোনো এলাকার বাজার, হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি বিষয়ও আমলে নেয়া হচ্ছে।
পলক বলেন, মূলত হটলাইনগুলোতে আসা ফোন কল, সনাক্তকারীর বিশ্লেষণ করে সরকারকে এলাকাগুলোর আক্রান্ত হওয়ার আগাম তথ্য দেয়া হচ্ছে। তবে করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপটি ফোনে ডাউনলোড করে ব্লু-টুথ চালু রাখলে ব্যক্তিও এই তথ্য পেতে পারবেন।
গত ৬ জুন থেকে চুল-চেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে এবং চলতি সপ্তাহেই এই খসড়াটি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে এপ্রিলে ৮০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পড়লেও মে মাসে এই সংখ্যাটি ৩০ শতাংশে নেমে এসেছ। তাই আমাদের সচেতনতা আরো বাড়াতে হবে। করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপটি সবাই যদি ব্যবহার করেন এবং তাদের ব্লুটুথ খোলা রাখেন তবে মোবাইলফোন ব্যবহারকারী আগে থেকেই সতর্ক হতে পারবেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতে জীবন ও জীবিকা রক্ষায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইডিইসিআর, আইসিটি বিভাগের ডেটা এনালিটিক্স টিম, এটুআই, সিটি করপোরেশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত আরো একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে বলেও জানান তিনি
Leave a Reply