গত বছর ফেসবুক ও গুগলে ভ্যাট ট্যাক্স বসায় নড়ে চড়ে বসেছিলো নেটিজেনরা। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছিলেন এতে কমে যেতে পারে আইসিটি খাতের অগ্রগতি। প্রযুক্তি ব্যবসায় নেমে আসতে পারে স্থবিরতা ।
এবারো একই আশঙ্কা মাথায় নিয়ে নেটফ্লিক্স এর পাশাপাশি জুম, টিকটক, স্কাইপে, লিঙ্কইন, হইচই, অ্যামাজন প্রাইম, নেটফ্লিক্স, হইচই, এইচবিও নাউ, শোটাইম, জি৫, টুইটার এডস, জয়েনমি সহ ৭৬ টি সেবা যার মধ্যে আছে অনলাইনে রিসার্চ আর্টিক্যাল ও সংবাদ পড়ার ওয়েবসাইটও।
এরমধ্যে শুধু গুগল, ফেইসবুক, ইউটিউবের ক্ষেত্রে ভ্যাট আদায়ে বেশি চেষ্টা করতো ব্যাংকগুলো। কিন্তু এগুলোসহ অন্যসব সেবায় ঠিকঠাক রাজস্ব মিলছে না দেখে নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংককে সব ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ করেছে এনবিআর।
নতুন বাজেট ঘোষণার দিন ১১ জুন এনবিআরের গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (মূসক) বাংলাদেশ ব্যাংককে ওই চিঠি দেয়।আর এর এক সপ্তাহ আগে ব্যাংকগুলোর কাছে নেটফ্লিক্সসহ এসব অনলাইন সেবার বিপরীতে ভ্যাট কাটা হয়েছে কিনা তার বছরভিত্তিক হিসাব প্রমাণসহ চেয়ে সব ব্যাংককে চিঠি দেয় এনবিআর।
এনবিআরের উপ-কমিশনার ও বিভাগী কর্মকর্তা (বিভাগ-২) উপল চাকমা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকগুলো যদি এখনও ভ্যাট না কাটে তাহলে এই ভ্যাট কাটা ও আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনবিআরকে জানাবে।বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে , অনলাইনভিত্তিক বিনোদন চ্যানেলের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় সাবস্ক্রিপশন বা গ্রাহক ফি দেয়া হয়ে থাকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এ অর্থ দেয়া হয়। মূল্য সংযোজন কর আইন-২০১২ অনুযায়ী এটি ভ্যাট আদায়যোগ্য সেবা।এনবিআর হতে ভ্যাট কাটার প্রমাণ চেয়ে চিঠি পাওয়ার পর ইতোমধ্যে অনেক ব্যাংকই তাদের গ্রাহককে চিঠি দিয়েছে।
Leave a Reply