আইসিটি পরিবারের শতাধিক পেশাজীবি সদস্যদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলো আইসিটি ক্লাব। মঙ্গলবার রাতে কেক ও ফিতা কেটে এই ক্লাবের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বংলামোটর সোনারতরী টাওয়ারে অবস্থিত নবগঠিত আইসিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিএস প্রেসিডেন্ট শাহিদ উল মুনীর, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার ও আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক এবং আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও সৈয়দ মুজিবুল হক বক্তব্য রাখেন।
বিসিএস পরিচালক মুজাহিদ আল বেরুনী সুজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দেয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে আগামীর প্রযুক্তি বিশ্বে মানুষ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হলেও নিজেদের সৃজনশীল মেধার কারণেই তারা প্রযুক্তির দাস হবে না বলে মন্তব্য করেন মোজাম্মেল বাবু।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীর পরামর্শে শিগগিরি ক্লাবে একটি গেমিং জোন এবং সাইবার ক্লাব স্থাপন করা হবে বলে জানান আইসিটি ক্লাবের স্বপ্নদ্রষ্টাদের অন্যতম শাহীদ উল মুনীর।
কর্মময় জীবনে আনন্দময়তার মাধ্যমেই এই ক্লাবটি সৃজনশীলতার মাধ্যমে নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একই সঙ্গে এই ক্লাবে আইসিটির ব্যবহার বাড়াতে নিজের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে একাডেমিয়াসহ আইসিটি খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ের বা কোলাবরেশনের কোন বিকল্প নেই। তরুন উদ্যোক্তারা এই ক্লাব থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবেন।
বাংলাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি গোষ্ঠী এখনো তৎপর উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক বিপ্লবে আইসিটি ক্লাব অন্যন্য ভূমিকা পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি আরো বলেন ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান ভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন উল্লেখ করে পলক বলেন আগামী দিনে শুধু উৎপাদনেই নয়, প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি খাতের সকলকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আইসিটি ক্লাব দেশের সকল হাইটেক পার্কে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
Leave a Reply