সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) অপারেটর বা একচেটিয়া অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের উপর দুই বিধিনিষেধ কার্যকরের নোটিশ দেয়া হয়েছে।এমএনপি লকিং পিরিয়ড কমিয়ে দেয়া এবং বর্তমানে চালু সকল সার্ভিস, প্যাকেজ, অফার নতুন করে অনুমোদন নেয়া ও নতুন কোনো প্যাকেজ বা সেবার ক্ষেত্রেও অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছে।
রোববার(২১ জুন) বিটিআরসি আপারেটরটিকে এসএমপি কার্যকরের এই নির্দেশনা পাঠায়।নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএমপি ঘোষণা করে। এরপর ১৫ মাস পেরিয়ে ২০২০ সালের জুনে এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কার্যকরের এই পদক্ষেপ।
টেলিকম খাতের জন্য বিটিআরসি যে এসএমপি নীতিমালা তৈরি করেছে সেখানে কোনো অপারেটরের কার্যকর গ্রাহক বা আয় বাজারের ৪০ শতাংশ হলে তাকে এসএমপি ঘোষণা কর যাবে। সেই ফর্মুলায় জিপিকে এসএমপি ঘোষণা করা হয়।পরে ২০১৯ সালের মে মাসে চারটি বিধিনিষেধ দেওয়া হয়, যেখানে জিপির কলের মূল্য মিনিট প্রতি অন্যদের চেয়ে পাঁচ পয়সা বেশি হওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পায়। তবে বিধিনিষেধ কার্যকর করার যে প্রক্রিয়া নীতিমালায় ঘোষণা করা হয়েছিল সেটি যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ার ইস্যু নিয়ে জিপি আদালতে গিয়ে বিষয়টি পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়।তারও আগে প্রথম দফায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা বললেও বিটিআরসি সেগুলো থেকে পিছিয়ে যায়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের মে মাসে অপর তিন অপারেটর রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক বিটিআরসির কাছে চিঠি দিয়ে গ্রামীণফোনের উপর এসএমপির বিধিনিষেধ আরোপের অনুরোধ করে।চিঠিতে তারা গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে বাজার নষ্ট করার অভিযোগ আনে।
তিন অপারেটর প্রধানের যৌথ স্বাক্ষরে দেয়া ওই চিঠিতে তারা বলছেন, এসএমপি ঘোষিত অপারেটর যেভাবে বাজার দখলের জন্য দেশের টেলিটকম খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে তা এ খাতটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
Leave a Reply