করোনা সংকটে যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে জরুরি টেলিমেডিসিন সেবা, কেনাকাটা কিংবা দাপ্তরিক কাজ চলছে তখন আসছে বাজেটে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শুল্ক বাসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাজস্ব আয় বাড়াতে শুল্ক বসানোয় এবারের বাজেটে বাড়তে পারে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট খরচ। মোবাইল অপারেটররা বলছে, বাড়তি কর আরোপ করা হলে তা সাধারণ গ্রাহককেই পরিশোধ করতে হবে।
করোনা মহামারিতে ঘর থেকে বের হওয়া কমে গেছে। বেড়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা। এমন অবস্থায় ব্যক্তিগত যোগাযোগ, কেনাকাটা কিংবা দাপ্তরিক কাজকর্ম সবই চলছে মোবাইল ও ইন্টারনেটে।
অপারেটদের হিসাব বলছে করোনায় দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৩০ শতাংশ। বিপরীতে ভয়েস কল কমেছে ২০ শতাংশ।
এবার খড়গ নামছে এই দূর আলাপানেও। বাজেটে টেলিকম খাত তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় এখান থেকে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আসছে বাজেটে কলরেটে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে ১৫ শতাংশ।
মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো বলছে, অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা বইতে হবে ব্যবহারকারীদেরই।
রবি’র হেড অব রেগুলেটারি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, গ্রাহকের ১০০ টাকা ব্যয়ের মধ্য থেকে নানাভাবে ৫৩ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। ইতিমধ্যে করভারে জর্জরিত এই সেবা। যদিও আবারও কর আরোপ করা হয় তাহলে গ্রাহকের ব্যয় বাড়বে এবং দুর্দশাও বাড়বে।
বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটারি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, এই সংকটকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ টেলিকম খাতে করো আরোপ কাম্য নয়।
করোনায় ব্যবসা বাণিজ্য থেকে চিকিৎসা সেবা- সবকিছুই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় কর আরোপের বিষয়ে অপারেটরদের মতামত নেয়া উচিত বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ।
তিনি বলেন, ট্যাক্স বাড়িয়ে দিলে যদি আমার কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়; তাহলে সেটা-তো অর্থনীতিকে বহন করতে হয়।
দেশে ১৬ কোটি ৬১ লাখ মোবাইল গ্রাহকের প্রায় ১০ কোটি গ্রাহকই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বর্তমানে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় গ্রাহকদের। কথা বলা ও ক্ষুদে বার্তায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং সারচার্জ পরিশোধ করতে হয় ১ শতাংশ হারে।
Leave a Reply