টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেটকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
বুধবার (২৪ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ঘোষণা আসে।
প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটকে জরুরি সেবা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে আসন্ন দশ দিনের টানা ছুটিতে সেবাগুলোকে চালু রাখতে বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং প্রতিরোধের জন্যে দশ দিনের ছুটি নির্দেশনায় বিশেষ বিশেষ জরুরি সেবাগুলো চালু রাখতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দিয়েছে। সেখানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল মতিন জানিয়েছেন, তাদের সকল অঞ্চল ও বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে ইতোমধ্যে জরুরি সেবা প্রদানে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোম্পানিটি তাদের প্রস্তুতির বিষয়গুলো উল্লেখ করে বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে।
গ্রামীণফোন কর্মকর্তারা জানিয়েছে তাদের কর্মীদের এই ছুটি দেয়া হয়নি। কর্মীরা হোম অফিস করছেন জরুরি ক্ষেত্রে তারা প্রয়োজনীয় স্থানে গিয়ে সেবা দেবেন। রবিও তাদের কর্মীদের প্রস্তুত রেখেছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস নিরবিছিন্ন রাখতে তারা সেবা দিয়ে যাবেন। অনলাইনে সেবা দেয়ার পাশাপাশি কোথাও কোনো সংযোগ বিছিন্নের ঘটনা হলে জরুরি হিসেবে তারা প্রস্তুত আছেন।
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খাঁন জানান, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে তারা যেসব কাজ পরিচালনা করে থাকেন তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন বলেন, মার্কেট বন্ধ থাকায় সাধারণ হার্ডওয়্যার সেবা হয়তো এখন মানুষ পাবেন না। তবে রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক জরুরি যেসব সেবা চালু রাখতে হার্ডওয়্যার সার্ভিস দরকার হবে সেগুলো দিতে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সকল টেলিযোগাযোগ কোম্পানিকে দেওয়া একটি চিঠিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন ব্যবহারের জন্যে নির্দেশনা দেয়।
Leave a Reply