পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মিলে সাম্প্রতিক নির্বাচনে কারচুপি করে আরও একবার গিলগিট-বালতিস্তানের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।কারচুপি এতটাই নির্লজ্জ ও বড় ধরনের হয়েছে যে, জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিলগিট শহর ও অন্যান্য এলাকার রাস্তায় নেমে এসেছিল।এমনকি পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) নির্বাচনের সময় এ ধরনের অনিয়মের ব্যাপারে হতাশা ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে।নির্বাচনের সময় ওই এলাকায় স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। ভোটকেন্দ্রে গেলে তারাও বাধা পেয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকেও তারা নানা ধরনের অভিযোগ পেয়েছে।অন্তত দুটি জেলায় নারীদের ভোটকেন্দ্রে একাধিক ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে; সেসব জেলা হল ঘাঞ্চি এবং দিয়ামের। এই দলটি জানতে পেরেছে, কয়েকজন নারী প্রার্থীকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নামতে দেওয়া হয়েছিল এবং প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল; যেখানে তিনি পৃথক প্রদেশ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যদিও সে ব্যাপারে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেই। ইমরান খানের প্রশাসনের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে।পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, নির্বাচনে বড় ধরনের কারচুপি হয়েছে। এ ব্যাপারে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ইসলামাবাদে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে পদযাত্রার হুমকি দিয়েছে।তাদের দাবি, ইমরান খানের দল পিটিআই মাত্র ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ২৫ শতাংশ ভোট। ২৩ আসনের মধ্যে মাত্র নয়টি পেয়েছে পিটিআই, সেই সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।পিটিআই সরকার ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী যৌথভাবে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালিয়েছে। পাঞ্জাবে বেশ কয়েকজন পিএমএল-এন এর রাজনীতিবিদের ব্যাপারে দুর্নীতির তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন নিশানায়। গিলগিট-বালতিস্তানের নির্বাচনের অনিয়ম ঢাকতেই এসব করার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র: আল-আরাবিয়াপোস্ট
Leave a Reply