করোনাভাইরাসের প্রভাবে যেসব দেশে দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে বেশ বেড়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগের হার। আর এ তথ্য জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। গত বুধবার কোভিড-১৯ নিয়ে ফেসবুকের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ইতালি এবং করোনাভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত অন্য দেশগুলোয় হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারের ভয়েস কলের পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়টাতে মানুষ ভার্চ্যুয়াল যোগাযোগের ওপর নির্ভর করছে বেশি। এতে বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার। ফলে ফেসবুকের সার্ভারগুলোতেও ডেটা আদান-প্রদানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সার্ভারগুলোর অবকাঠামো এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে ফেসবুক। হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ইতিমধ্যে সার্ভারের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। মার্ক জাকারবার্গ জানান, করোনাভাইরাসের ফলে বিশ্বজুড়ে যেসব দেশের নাগরিকেরা তাদের যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের ওপর নির্ভর করছে, তাদের ক্ষেত্রে ফেসবুককে অবশ্যই তার অবকাঠামোগত ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।
এটি অবশ্য ফেসবুককর্মীদের, বিশেষ করে যাঁরা অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাড়ি থেকে কাজ করার নীতিমালাটি বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। জাকারবার্গ বলেন, তাঁদের শুধু সার্ভার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরাই প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনের জন্য কর্মক্ষেত্রে থাকবেন।
Leave a Reply