ইরানের সেনাবাহিনীর নৌ বিভাগের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল খানযাদি বলেছেন, আমরা খুব শিগগিরই সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করব। ইতোমধ্যে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রে টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
বৃহস্পতিবার সাগরে নিক্ষেপযোগ্য স্বল্প ও দীর্ঘ পাল্লার কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি এক টিভি সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।খানযাদি বলেন, “আমরা বর্তমানে সাগরে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়েছি এবং খুব শিগগিরই এর পাল্লা আরও অনেক বাড়ানো হবে। আমরা আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখব। আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যরা এ জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।”
নৌবাহিনীর প্রধান আরও বলেন, বর্তমানে আমরা যেসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছি তা শব্দের গতির কাছাকাছি পর্যায়ের। কিন্তু আমরা শব্দের গতির চেয়ে কয়েকগুন বেশি গতিতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। অদূর ভবিষ্যতেই সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে।
রিয়ার এডমিরাল খানযদি আরও বলেন, আমরা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বেশি সংখ্যায় তৈরির চেষ্টা করছি, কারণ আমাদের নৌযানে এগুলো বেশি পরিমাণে রাখা যায় এবং অনেক বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা সম্ভব হয়
Leave a Reply