পুলিশ বাহিনীতে ইসরায়েলি সামরিক প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহরের কর্তৃপক্ষ। জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই এ পদক্ষেপ নিলো নর্থ ক্যারোলিনার ওই শহরটি। ডারহাম কাউন্সিলে নৃশংস ইসরায়েলি সামরিক প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধের এ প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। ৬-০ ভোটে প্রস্তাবটির পক্ষে রায় দেন কাউন্সিল সদস্যরা।
এর আগে ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে বর্ণবৈষম্য ও পুলিশি নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মধ্যেই একটি পিটিশন আলোচনায় আসে। ‘ডিমিলিটারাইড! ডারহাম টু প্যালেস্টাইন’ শীর্ষক ওই পিটিশনে এক হাজার ৪০০-এরও বেশি স্বাক্ষর পড়ে। পিটিশনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও দেশটির পুলিশের ফিলিস্তিনি জনগণ এবং বর্ণের ভিত্তিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
তারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ এবং বর্ণবাদী আচরণের কৌশল নেয়। সামাজিক ন্যায়বিচার দমনের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এসব কৌশল ইসরায়েলে প্রশিক্ষিত মার্কিন পুলিশ বাহিনীকে আরও সামরিক করে তোলে। এই প্রশিক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশকে কালো ও বাদামী সম্প্রদায়ের মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতে সহায়তা করে। ডারহাম কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ এখন বলছে, পুলিশ বাহিনীকে সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ দেয় এমন যে কোনও দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
অর্থাৎ, এমন কোনও দেশের সামরিক বাহিনীকে আর ডারহামের পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। এর মধ্য দিয়ে ডারহাম যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধ করা প্রথম শহরে পরিণত হলো। সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর।
Leave a Reply